The best Side of sports

বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষণা করার কথা ছিল।

বিতর্ক অনুষ্ঠানের মঞ্চে এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য এবং মঞ্চে আধিপত্য বিস্তারকারী ব্যক্তিত্ব তার সমর্থক এবং তীব্র সমালোচকদের সমান পরিমাণে আকর্ষণ করেছিল। গণমাধ্যমেও বারেবারে শিরোনামে উঠে এসেছে তার বিভিন্ন মন্তব্য।

সিমলা চুক্তি কী, স্থগিত হলে ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে?

ছবির ক্যাপশান, জর্জিয়ার আটলান্টায় ফুল্টন কাউন্টি জেলে তোলা মি. ট্রাম্পের ছবি।

তার প্রয়াত স্ত্রী ইভানা জেলনিকোভা মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগ অবশ্য তিনি পরে তুলে নেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে তৈরি একটা চলচ্চিত্রে এই বিষয়ে দেখানো হয়েছে।

অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভাঙ্কা, ছেলে এরিক ট্রাম্পসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে।

ট্রাম্পের অভিযোগগুলি রাজ্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের দ্বারাও খণ্ডন করা হয়,[২৪০] এবং সুপ্রিম কোর্ট বাইডেনের জয়ী চার রাজ্যের ফলাফল বাতিলের আবেদন শুনতে অস্বীকার করে।[২৪১] ট্রাম্প ফলাফল উলটাতে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেন, রিপাবলিকান স্থানীয় ও রাজ্য কর্মকর্তাদের,[২৪২] রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের,[২৪৩] জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট,[২৪৪] এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সকে[২৪৫] লক্ষ্য করে ইলেক্টর প্রতিস্থাপন, জর্জিয়া কর্মকর্তাদের ভোট "খুঁজে বের করতে" বা "পুনর্গণিত" ফল ঘোষণার অনুরোধের মতো পদক্ষেপ চাপ দেন।[২৪৩] নির্বাচন-পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড থেকে সরে যান।[২৪৬] তিনি প্রাথমিকভাবে বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা বন্ধ করেন।[২৪৭][২৪৮] তিন সপ্তাহ পর জিএসএ-র প্রশাসক বাইডেনকে নির্বাচনের "স্পষ্ট বিজয়ী" ঘোষণা করে ট্রানজিশন সম্পদ বরাদ্দের অনুমতি দেন।[২৪৯] ট্রাম্প দাবি করেন তিনি জিএসএকে ট্রানজিশন প্রক্রিয়া শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করেননি।[২৫০][২৫১] ২০ জানুয়ারি বাইডেনের more info শপথগ্রহণে ট্রাম্প উপস্থিত হননি।[২৫২]

ডিগ্রি অর্জনের পরই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন তিনি। মি. ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য বাবার কাছ থেকে ‘সামান্য’ পরিমাণে ঋণ নিতে হয়েছিল তাকে। এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ ডলার।

ছবির ক্যাপশান, মি. ট্রাম্পের উপর বন্দুক হামলার পরের ছবি।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের পররাষ্ট্র নীতিকে বিভিন্নভাবে সাম্রাজ্যবাদী, সম্প্রসারণবাদী,[৩০৪][৩০৫] বিচ্ছিন্নতাবাদী, এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতাবাদী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি "আমেরিকা ফার্স্ট" আদর্শকে এর মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন।[৩০৬] তার মিত্রদের সাথে সম্পর্ক লেনদেনভিত্তিক ছিল এবং উদাসীনতা থেকে শত্রুতা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, যার মধ্যে সংযুক্তির হুমকিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৩০৭] তিনি মার্কিন সরকারকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর তহবিল সরবরাহ এবং সহযোগিতা বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউএইচও থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসার অভিপ্রায় ঘোষণা করেন।[৩০৮][৩০৯][৩১০] ট্রাম্প এবং তার আগত প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের পাশাপাশি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সহায়তা করেন, যা তার শপথের একদিন সরকারি চাকরি আগে কার্যকর হয়।[৩১১][৩১২][৩১৩] মার্চ মাসে, ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থনে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে।

মুসলিম অভিবাসনের উপর ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ই-পেটিশ্যান ওয়েবসাইটে "ব্লক ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ফ্রম ইউকে এন্ট্রি" নামের একটি পেটিশ্যান খোলা হয়।[৭৫] ডিসেম্বর ১১ সকাল ৫ টার মধ্যেই স্বাক্ষর সংখ্যার সর্বোমোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫,০০,০০০ এর click here চেয়েও বেশি।[৭৬]

এ দফায় ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমেরিকার স্বর্ণযুগে পা দিয়েছে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছেন মি. ট্রাম্প।

 ট্রাম্পের ৩য় পুত্র এরিক (দ্য ট্রাম্প অর্গানিজেশ্যানের নির্বাহি সহ-সভাপতি) ট্রাম্প জীবনে তিনবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[৩২৫] তার ব্যক্তিগতজীবন ব্যাপকভাবে মিডিয়া কাভারেজ অর্জন করেছিল।[৩২৬]

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান তিনি। নিজের পরিবারকে ফ্লোরিডায় স্থানান্তরিত করে দেন। তবে তার অনুগত ভক্তদের একটা অংশ এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে। একইসঙ্গে রিপাবলিকান পার্টিতেও তার ব্যাপক প্রভাব বজায় রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *